খেজুর সম্পর্কে কিছু সাস্থকারী তথ্য, খেজুরের উপকারিতা
খেজুরের উপকারিতা
খেজুর সম্পর্কে কিছু সাস্থকারী তথ্য, খেজুরের উপকারিতা
খেজুরের উপকারিতা
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ https://www.facebook.com/বাংলা-রেসিপি-Bangla-Recipe-182883119174781
আর আমাদের নতুন ওয়েবসাইটঃ http://recipebangla.com/
পুডিং মজাদার একটি খাবার। দুধ-ডিমের মিশ্রণে বানানো এখাবারটি অনেক পুষ্টিকরও। পুডিং বানানোর নিয়মও অনেক সহজ। একটু কষ্ট করলে বাসায় আপনিও বানাতে পারেন সুস্বাদু খাবার পুডিং। আজকে আপনাদের জন্য পুডিং বানানোর সহজ উপায় বাতলে দেব।
আধা কেজি পরিমাণ পুডিং বানাতে যা যা লাগবেঃ
১. দুধ আধা লিটার
২. ডিম ৪টি
৩. চিনি ৫/৭ টেবিল চামচ (চিনি বেশী পছন্দ করলে আরো দিতে পারেন)
৪. ভেনিলা এসেন্স (যদি থাকে)
৫. ঢাকনাওয়ালা টিফিন বক্স বা পুডিং বানানোর বাটি
পুডিংয়ের দুধ প্রস্তুত করাঃ
পুডিং বানানোর জন্য ৫০০ মিলিলিটার/আধা লিটার দুধ নিয়ে হাড়িতে জ্বালিয়ে ৩০০ মিলিলিটার বা অর্ধেক পরিমান করতে হবে। এরপর নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। ঠাণ্ডা করার সময় দুধ নাড়তে থাকুন। যেনো সর না জমতে পারে। সর জমিয়ে দুধ নষ্ট করবেন না।
খাটি গরুর দুধ হলে ভালো হয়, আর ম্যানেজ করতে না পারলে বাজারের পাস্তুরিত তরল দুধ দিয়ে পুডিং বানাতে পারবেন। আড়ং, প্রাণ, মিল্ক ভিটার দুধ রয়েছে বাজারে।
পুডিংয়ের ডিম প্রস্তুত করাঃ
আধা লিটার দুধের পুডিং বানাতে ৩-৪টি ডিমের প্রয়োজন হয়। একটি বাটিতে ডিমগুলো নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপরে এতে চিনি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ফেটাতে থাকুন। খুব ভালো করে মিশ্রণ করতে হবে যেনো ডিমের সাদা এবং হলুদ অংশ পৃথক হয়ে না থাকে।
দুধ ও ডিমের মিশ্রণ তৈরিঃ
এবার ডিম-চিনির মিশ্রণে ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া দুধ ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মনে রাখবেন যদি দুধ সামান্য গরম থাকে তবে ডিমকে জমাট করে ফেলবে। তাই দুধ খুব ঠাণ্ডা করে নিয়েই মেশাতে হবে। ভ্যানিলা এসেন্স দিতে চাইলে এসময় কয়েক ফোটা দিতে পারেন। এটা দেয়া মোটেও জরুরি নয়। বরং ক্যামিকেল মুক্ত খেতে চাইলে না দেয়ায় ভালো। এই মিশ্রণ রেখে দিন পুডিং বানানোর পরবর্তী ধাপের জন্য।
টিফিন বাটিতে ক্যারামেল তৈরিঃ
যে বাটিতে পুডিং বানাতে চান সেই বাটিতে ক্যারামেল করতে হবে। পুডিং বানানোর জন্য একটি স্টিলের টিফিন বাটি হলে ভালো হয়। টিফিন বাটির তলায় কিছু চিনি ছড়িয়ে দিন। প্রায় ১ চা চামচ পরিমান চিনি বাটিতে ছড়িয়ে দু’এক চামচ পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন।
চিনি গলে মিশে শিরা তৈরি হয়ে লাল হয়ে বাটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে বাটিটি ঠাণ্ডা করুন। দেখবেন গলিত চিনি লাল হয়ে বাটির নিচের পৃষ্ঠে মিশে আছে।
যদি এখনো বুঝতে না পারেন কিভাবে ক্যারামেল বানাবেন, তবে ক্যারামেল বানানোর জন্য দেখুন: সহজে উপায়ে ক্যারামেল বানানোর নিয়ম।
দুধ-ডিমের মিশ্রণ দিয়ে চুলায় বসানোঃ
পুডিং বানানোর জন্য এ পর্যায়ের কাজ কিছুটা জটিল। তবে বুঝতে পারলে খুবই সহজ। দুধ-ডিমের মিশ্রণটিকে গরমে সিদ্ধ করতে হবে। এজন্য একটু বড় পাতিল বা সসপ্যান ধরনের পাত্র নিতে হয়। পাত্রটির ঠিক মাঝে একটি পাতিল রাখার স্ট্যান্ড বসিয়ে দিন। এবার পাত্রে ১/৪ অংশ পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এবার ক্যারামেলযুক্ত ঠাণ্ডা বাটিতে দুধ-ডিমের মিশ্রণ ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
একটি বিষয় পরিষ্কার থাকবেন, দুধ-ডিম মিশ্রিত মিশ্রণ জমে পুডিং তৈরি হবে। এটাকে গরমে জমাতে হবে। তাই গরম পানির মধ্যে বসিয়ে তাপ দেয়া হবে।
মিশ্রন ভর্তি টিফিন বাটিটি স্ট্যান্ডের উপর বসান। এবার এমনভাবে পানি দেবেন যেনো তা গরম হয়ে উৎরিয়ে টিফিন বাটির মধ্যে না ঢুকে পড়ে। প্রয়োজন হলে টিফিন বাটিটি ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিন।
এবার পাতিল বা সসপ্যান যা আপনি ব্যবহার করছেন তা চুলায় উঠিয়ে দিন। পাতিল ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। এবারে আগুন জ্বালিয়ে দিন। পাত্রটির ঢাকনার উপরে ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিন। যেনো বাষ্প বের হয়ে যেতে না পারে। ৩৫-৪৫ মিনিট জ্বাল হলে আপনার পুডিং হয়ে যাওয়ার কথা।
পুডিং জমানোঃ
চুলা থেকে নামানোর আগে একটি কাঠি দিয়ে পুডিং ঠিকমতো হয়েছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। এজন্য চিকন কাঠিটি টিফিন বাটির ঢাকনা খুলে পুডিংয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন। যদি কাঠিটি পানিযুক্ত দেখেন, তবে আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দিন। হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। পানি শুকিয়ে দুধ-ডিমের মিশ্রণ জমে গেলেই পুডিং হয়ে যাবে।
পুডিংয়ের সর্বশেষ ধাপঃ
এরপর পুডিংয়ের বাটি একটু ঠাণ্ডা হলে একটি ছড়ানো প্লেটে উল্টো করে দিন। আস্তে আস্তে বাটিটি তুলে নিন। কোনো তাড়াহুড়ো বা ঝাকা-ঝাকি করবেন না। এমনিতেই বাটি উঠে আসবে। বাটি তুললে দেখবেন পুডিংয়ের ক্যারামেল অংশটি উপরে রয়েছে।
পুডিং পরিবেশনাঃ
এবার ঠাণ্ডা করে খেতে চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন। হয়ে গেলো মজাদার হোম-মেইড পুডিং। কেটে কেটে প্রিয়জনকে যখন পরিবেশন করবেন, নিশ্চয় তারা চমকে যাবে।
পুডিং বানাতে সতর্কতাঃ
১. দুধ ঠাণ্ডা করার সময় নাড়তে থাকুন।
২. গরম দুধের মধ্যে ডিম মেশাবেন না।
৩. পুডিং বাটি গরম পানির মধ্যে দেয়ার সময় খেয়াল রাখবেন, পানি যেনো বাটির মধ্যে ঢুকে না পড়ে। পানি গরম করলে উঁচু হবে। তাই বাটির মুখ থেকে পানি নিচুতে রাখুন।
=========
হোমমেড পুডিং খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। বাসায় কিভাবে সহজ উপায়ে মজাদার ডিমের পুডিং বানানো যায় তার সহজ রেসিপি দেয়া হল। বাসায় পুডিং বানাতে, ডিম, দুধ, চিনি টিফিন বক্স প্রয়োজন হয়।
আমাদের দেশের কমবেশি সব বাড়িতে এই রান্না হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করবেন এই মুরগির কোর্মা।
উপকরণ:
– তেল- ৩ টেবিল চামচ
– মুরগির মাংস (মাঝারি করে টুকরো করা)- ১ কেজি
– গরম মশলা- ১ চা চামচ
– মরিচের গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
– কাঁচা মরিচ- ২টা
– টমেটো- ৩টা
– পেঁয়াজ- ৩টা
– আদা বাটা- ২ চা চামচ
– রসুন বাটা- ২ চা চামচ
– গোটা গোলমরিচ- ৫টা
– বড় এলাচ- ২টা
– টক দই- ২ টেবিল চামচ
– লেবুর রস- ১ চা চামচ
– লবণ- স্বাদ মত
যেভাবে বানাবেন
একটা তলা মোটা পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ সোনালি করে ভেজে নিন। আদা, রসুন, মরিচের গুঁড়া, লবণ, এলাচ ও গোটা গোলমরিচ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। টমেটো কুচি দিন। দুমিনিট ভাল করে নেড়ে নিয়ে মুরগির মাংস দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে ভাল করে ভেজে নিন। আঁচ কমিয়ে পাত্র ঢেকা ২৫ মিনিট রান্না করুন। দই, লেবুর রস ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও ২০ মিনিট রান্না করে নামিয়ে ফেলুন।
ব্যস হয়ে গেল। এবার পরোটা বা পোলও এর সাথে পরিবেশন করুন মজাদার মুরগির কোর্মা।
এখন ঘরেই বানান পাস্তা! (৩ ধরণের রান্নার রেসিপি সহ পাস্তা বানানোর কৌশল)
যা যা লাগবেঃ
ডিম- ২টি, ময়দা- পরিমাণমত, লবন- পরিমাণমত, তেল- ২ চা চামচ।
কি করে করবেনঃ
প্রথমে একটি পাত্রে ২টি ডিম নিয়ে ভালো করে ফেটে নিন।
এর সাথে পরিমাণমত লবন মেশান।
এবার ডিমের সাথে অল্প অল্প করে ময়দা মেশাতে থাকুন এবং ময়ান করতে থাকুন। রুটি বানানোর জন্য যেমন ময়ান করতে হয় তেমন ময়ান হওয়া পর্যন্ত ময়দা মেশাতে থাকুন।
ভুলেও পানি মেশাবেন না। ময়ান করা শেষের দিকে আসলে তেল মিশিয়ে নিবেন। এটি মিশ্রণ বারবার হাতে লাগা থেকে রক্ষা করবে।
ময়ান হয়ে গেলে আধাঘন্টা ময়ানটা ঢেকে রেখে দিন।
আধা ঘন্টা পর, ময়ান দিয়ে রুটি বেলুন। মনে রাখবেন, রুটি যত বেশি পাতলা হবে আপনার পাস্তা তত পার্ফেক্ট হবে।
রুটি বেলা হলে ছুরি দিয়ে পছন্দের শেইপে পাস্তা কেটে নিন। একটু চিকন আর ছোট করতে চেষ্টা করবেন।
ব্যাস পাস্তা বানানো কিন্তু হয়েই গেলো। এবার রান্নার পালা। পাস্তা অনেকভাবে রান্না করা যায়। রান্নার সময় কড়াইয়ে পানি গরম করে তাতে কেটে রাখা পাস্তা গুলো দিয়ে দিন। ১৫/২০ মিনিট গরম পানিতে পাস্তাগুলোকে সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে পানি ছেঁকে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
সাধারণ পাস্তাঃ সাধারণ পাস্তা বলতে নুডুলসের মত রান্না করা পাস্তার কথা বলছি। একটু তেলে পেঁয়াজ, মরিচ কুচি আর লবন দিয়ে নাড়ুন। এতে আগে থেকে ঝুরি করে রাখা ডিম মেশান। নেড়ে চেড়ে সেদ্ধ করা পাস্তা মিশিয়ে ১০ মিনিটের মত চুলায় রাখুন। হয়ে গেলো সাধারণ পাস্তা।
স্পাইসি পাস্তাঃ আপনি যদি একটু ঝালপ্রিয় হয়ে থাকেন, তবে ঝাল করে পাস্তা রান্না করতে পারেন। তেলে কিউব করে কাটা পেঁয়াজ, লবন, ৩ টেবিল চামচ টক দই আর টমেটো ক্যাচাপ দিন। এতে গোলমরিচের গুড়া আর ফালি করা মরিচ যোগ করুন। ২/৩ কাপ পানি দিয়ে তাতে পাস্তা দিয়ে রান্না করতে থাকুন। আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা মুরগীর বুকের মাংসের ছোট টুকরা দিন। আধা কাপ পানিতে ২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার গুলে এতে মিশিয়ে দিন। বারবার নেড়ে ঝোল কমা অব্দি রান্না করতে থাকুন।
হোয়াইট চিজি পাস্তাঃ খানিকা নোনতা আর খানিকটা মিষ্টি এই পাস্তা ছোটদের একটু বেশীই প্রিয়। মাখনের সাথে দুধ আর হোয়াইট সস মিশিয়ে নিন। সেদ্ধ করা পাস্তা দিয়ে তাতে সামান্য লবন আর চিনি মিশিয়ে নিন। আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা মুরগীর বুকের মাংসের ছোট টুকরা দিন। এবার পনির বা চিজ ঝুরি করে তাতে মিশিয়ে নিন। মৃদু আঁচে ১৫/২০ মিনিট রান্না করুন। পাস্তা তৈরি।
ভেড়ার মাংসের এক সহজ অথচ সুস্বাদু রেসিপি ল্যাম্ব কোফতা কারি রইল আজ।
কী কী লাগবে-
কোফতার জন্য-
ল্যাম্ব কিমা-৯০০ গ্রাম
আদা বাটা-১/২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা-১/২ টেবিল চামচ
ডিম-১টা
পাঁউরুটির গুঁড়ো-৪ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি-২ টেবিল চামচ
নুন-স্বাদ মতো
কারির জন্য-
পেঁয়াজ-১টা(বাটা)
কাঁচালঙ্কা-১টা
রসুন বাটা-৩/৪ টেবিল চামচ
আদা বাটা-৩/৪ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো-১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো-১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়ো-১/২ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো-১/২ টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়ো-১,১/২ টেবিল চামচ
কসুরি মেথি-১,১/২ টেবিল চামচ
কাজু বাটা-৩/৪ কাপ
ঘন ক্রিম-১ কাপ
রান্নার তেল-১,১/২ টেবিল চামচ
জল-১০০ মিলি
নুন-স্বাদ মতো
কীভাবে বানাবেন-
কোফতা
কোফতার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প হাতে তুলে নিয়ে ছোট ছোট বল বা লম্বা আকারে কোফতা গড়ে নিন। বেকিং শিটের ওপর কোফতা সাজিয়ে মুড়ে ১ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। কোফতা তেলে ভেজে নিতে পারেন বা একেবারে কারিতেও দিতে পারেন।
কারি
কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা ও আদা বাটা দিয়ে জল টেনে আসা পর্যন্ত ভেজে নিন। মাঝারি আঁচে ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন যাতে কড়াইতে লেগে না যায়। বাদামি করে ভেজে নিয়ে জিরে গুঁড়ো, নুন, হলুদ, গোলমরিচ গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো দিন। অল্প নেড়ে মিশিয়ে নিয়েই টমেটো পিউরি দিয়ে নিন। কারি ঘন হওয়া পর্যন্ত ফোটাতে থাকুন। ঘন হয়ে এলে কাজু বাটা ও ক্রিম মিশিয়ে ৫ মিনিট রান্না করে গরম মশলা ও কসুরি মেথি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে জল দিয়ে কোফতা দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে নিয়ে চাপা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করুন।
গরম ভাত বা রুটি যেকোনও কিছু সঙ্গেই খেতে পারবেন ল্যাম্ব কোফতা কারি।
কী কী লাগবে-
চিকেন ব্রেস্ট-৪টে(বোনলেস অর্ধেক করে কাটা)
শুকনো থাইম-১ টেবিল চামচ
শুকনো সেজ-১,১/২ চা চামচ
নুন-স্বাদ মতো
গোলমরিচ গুঁড়ো-১ চা চামচ
মিস্টি আলু-১২ আউন্স
লাল পেঁয়াজ-১টা মাঝারি
অলিভ অয়েল-৫ টেবিল চামচ
সোডিয়াম চিকেন ব্রথ-১/২ কাপ
শুকনো হোয়াইট ওয়াইন-১/৪ কাপ
স্মোকড বেকন-৫ স্লাইস
সাদা মাখন-১ টেবিল চামচ
ময়দা-১ টেবিল চামচ
দুধ-১ কাপ
গ্রেটেড চিজ-১/৩ কাপ
কীভাবে বানাবেন-
ওভেন র্যাক ৩৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রি-হিট করে নিন। বেকিং ডিশ মাখন দিয়ে গ্রিজ করে নিন। চিকেন পেপার টাওয়েল দিয়ে মুছে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আড়াআড়ি কেটে নিন। একটা ছোট বাটিতে থাইম, সেজ, ১ চা চামচ নুন ও গোলমরিচ গুঁড়ো একসঙ্গে নিন। এখান থেকে ১ চামচ তুলে নিয়ে বাকিটা চিকেনের দু’পিঠে ভাল করে মাখিয়ে নিন।
আলুর খোসা ছাড়িয়ে ১/৪ ইঞ্চি মোটা টুকরোয় কেটে নিন। পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে মাঝখান থেকে ১/৪ ইঞ্চি চওড়া স্ট্রিপে কেটে নিন। বড় ফ্রাইং প্যানে মাঝারি আঁচে ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল গরম করুন। চিকেন ব্রেস্ট দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। বেকিং ডিশের ওপর চিকেনের টুকরো রাখুন। ওয়াইন ও চিকেন ব্রথ একসঙ্গে হুইস্ক করে নিয়ে ফ্রাইং নাড়তে থাকুন। যখন ঘন হয়ে আসবে তখন চিকেনের ওপর ঢেলে দিন।
এই ফ্রাইং প্যানেই মাঝারি আঁচে বেকন মুচমুচে করে ভেজে নিন। পেপার টাওয়েলে অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ঠান্ডা করে টুকরো টুকরো করে নিন। এবারে ফ্রাইং প্যানে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল গরম করে আলুর টুকরো, পেঁয়াজ দিয়ে নরম হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। হয়ে গেলে নুন ছড়িয়ে চিকেনের ওপর ছড়িয়ে দিন। এর ওপর বেকন দিয়ে দিন।
মাখন মাঝারি আঁচে গলিয়ে নিন। এর মধ্যে ময়দা দিয়ে নাড়তে থাকুন। দুধ দিন। এই মিশ্রণ ফোটাতে থাকুন। এই সস চিকেনের ওপর ছড়িয়ে দিয়ে ক্যাসারোল ফয়েল শিট দিয়ে ঢেকে দিন। প্রি-হিট করা ওভেনে ২০ মিনিট বেক করে নিন। ওভেন থেকে বের করে ৫ মিনিট ঠান্ডা করে নিন।
উপকরণঃ
-খাসির মাংস ২ কেজি
-আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
-রসুন বাটা ২ চা চামচ
-পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ
-হলুদগুঁড়া ২ চা চামচ
-মরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ
-জিরার গুঁড়া ২ চা চামচ
-ধনেগুঁড়া ২ চা চামচ
-পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ
-তেল ১ কাপ
-ঘি ২ টেবিল চামচ
-লবণ স্বাদ অনুযায়ী
-কাঁচা মরিচ ১০টি
-তেজপাতা ২টি
-দারচিনি ৩ টুকরা
-এলাচ ৪টি
-পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ
-আলু ৬টি
-কেওড়া জল ১ টেবিল চামচ
বানানোর পদ্ধতি:
খাসির মাংস টুকরো করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ ও তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। এবারে মাংস ও লবণ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ভেজে নিন। মাংস ভাজা হলে পোস্তদানা বাটা ও জিরার গুঁড়া বাদে অন্যান্য বাটা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ঢেকে দিন। ১০-১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন ও ঢেকে দিন। আলুগুলো ছিলে লম্বালম্বি মাঝখান থেকে কেটে ২ টুকরা করে দিন। পানি শুকিয়ে এলে আরও ১ থেকে দেড় কাপ গরম পানি দিয়ে আলু এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে জিরাগুঁড়া ও পোস্তদানা বাটা দিয়ে নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে ঢাকনা খুলে প্রয়োজন হলে আরও সামান্য পানি ও কেওড়া দিয়ে হালকা নেড়ে ঢেকে দিন। মাংস মজে তেল অল্প ছাড়লে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দমে রাখুন কিছুক্ষণ। রান্না শেষ, পরিবেশন করুন।
উপকরনঃ
শর্মা রুটির জন্য
– ময়দা ৪ কাপ,
– চিনি ২ টেবিল চামচ,
– লবণ ১ চা চামচ,
– গুঁড়োদুধ ২ টেবিল চামচ,
– ইস্ট ২ টেবিল চামচ,
– তেল ২ টেবিল চামচ,
– গরম পানি ১ থেকে দেড় কাপ
ভেতরের পুর তৈরির জন্য
– গরু/ মুরগীর মাংস ২০০ গ্রাম লম্বাটে চিকন করে কাটা
– পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ
– ১ টেবিল চামচ চিলি সস
– ১ চা চামচ অয়েস্টার সস
– ১ চা চামচ সয়াসস
– মরিচ কুঁচি প্রয়োজনমতো
– লবণ স্বাদমতো
শর্মা স্পেশাল সস তৈরির জন্য
– টকদই ২ কাপ,
– ১/৪ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
– লবণ স্বাদমতো,
– ১/৪ চা চামচ
অন্যান্য
– টমেটো লম্বাটে কুচি করে কাটা
– শসা লম্বাটে কুঁচি করে কাটা
– পেঁয়াজ স্লাইস করে ছাড়িয়ে নেয়া
– লেটুস পাতা কুঁচি
পদ্ধতিঃ
শর্মা রুটি তৈরি
– কুসুম গরম পানি ইষ্ট গুলিয়ে রাখুন।
– ময়দা, চিনি, লবণ, গুঁড়োদুধ একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে ইষ্ট গোলানো পানি এবং পরিমাণ মতো পানি দিয়ে খামির তৈরি করে নিন।
– ভালো করে ময়দা মথা হয়ে গেলে জল তেল দিয়ে আবারও খামির খানিকক্ষণ মথে নিতে হবে।
– এরপর খামির আধা ঘণ্টা গরম জায়গায় রেখে দিন। এতে খামির ফুলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
– আধা ঘণ্টা পর খামির ১২ টি ভাগ করে রুটি বেলে নিন।
– এরপর রুটিগুলো ভালো করে সেঁকে নিন।
শর্মা পুর তৈরি
– প্রথমে কাটা মাংস সামান্য লবণ দিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে নিন।
– এরপর একটি প্যানে তেল দিয়ে এতে পেঁয়াজ ও মরিচ কুঁচি দিয়ে নেড়ে নিন। তারপর এতে লবণ ও সসগুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে সেদ্ধ করা মাংস দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
– মাংস ভাজা ভাজা হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
– শর্মা স্পেশাল সস তৈরির জন্য রাখা সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে সস তৈরি করে নিন।
– ভাজা মাংসের পুরে স্পেশাল সসটি দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন।
বিফ/চিকেন শর্মা তৈরি
– পিটা রুটি প্লেটে বিছিয়ে নিয়ে এর এক কিনারে পুরু করে ভেতরের পুর দিয়ে দিন।
– পুরের উপরে লেটুস পাতা, পেঁয়াজ, শসা ও টমেটো কুচি দিয়ে দিন।
– এরপর রুটিটি রোল করে শর্মা তৈরি করে ফেলুন।
– ব্যস, এবার সস বা মেয়োনেজের সাথে মজা নিন সুস্বাদু এই ‘বিফ/চিকেন শর্মা’র।